ARRI Research
শনিবার, ৯ এপ্রিল, ২০১৬
মঙ্গলবার, ১৯ মার্চ, ২০১৩
প্রেম সূত্র / Love Equation
সূত্রটি অবশ্যই পুরাপুরি পড়ে বুঝার চেষ্টা করবেন। কেমন,
প্রেম সূত্র / Love Equation
তত্ত্ব / Theory:
যখন একটি ছেলে একটি মেয়ের আংশিক বা সর্ম্পূণ রুপে প্রেমে পড়ে,
তখন, মেয়েটির সর্বোচ্চ উছলে পড়া প্রেম ছেলেটির সর্বোচ্চ পকেট মানি (money/টাকা) এর
সমানুপাতিক । পকেট মানি বৃদ্ধি পেলে উছলে পড়া প্রেম বৃদ্ধি পায় । আর, পকেট মানি হ্রাস
পেলে উছলে পড়া প্রেম হ্রাস পায়
অর্থাৎ, মেয়েটির সর্বোচ্চ উছলে পড়া প্রেম ∞ ছেলেটির সর্বোচ্চ পকেট মানি (money/টাকা) ।
ব্যাখ্যা / Explain:
Lu∞Mu
বা, Lu=£Mu ( £=পেজওয়ানা)
বা, £=
Lu/Mu
£ (Pasowana/পেজওয়ানা) =ভন্ডামী প্রেম
।
Lu= Ultimate Love of Girl.
Mu= Ultimate Pocket Money of Boy.
অর্থাৎ, ছেলেদের সর্বোচ্চ পকেট মানি(money/টাকা) ও মেয়েদের সর্বোচ্চ
উছলে পড়া প্রেম এর অনুপাত একটি ধুব্র সংখ্যা, যাকে £ ( পেজওয়ানা ) দ্বারা প্রকাশ করা হয় । একে Pasowana Ratio ঔ বলা হয় ।
সীমাবদ্ধতা / Restriction:
১. এই সূত্রটি সত্যিকার (Real/Pure) প্রেমের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য
হবে না ।
২. শুধু মাত্র লোভি, কৃপণ ও দুষ্চরিত্রের মেয়েদের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য
। অন্যথায় প্রযোজ্য হবে না ।
উদ্দেশ্য / Object:
আজকালের ছেলে-মেয়েদের ও প্রেমিক-প্রেমিকাদের কে সঠিক ও সত্যিকার
প্রেমে উদ্বুদ্ধ করা এবং ভন্ডামী প্রেমের হাত থেকে রক্ষা করা ।
উদ্ভাবক:
১। ব্যাখ্যা, সীমাবদ্ধতা ও উদ্দেশ্য প্রদানে এবং সামগ্রিক ও তত্ত্ব
সংশোধনে মোঃ আল আমিন হোসেন ।
e-mail: alaminbpi21@gmail.com
২। কল্পনা ও মূল তত্ত্ব প্রদানে মোঃ ইজাজুল ইসলাম (রেজওয়ান) ।
e-mail:mdejajulislamrezwan@gmail.com
৩। বিশেষ ও সার্বিক সহায়তায় এবং তত্ত্ব প্রদানে মোঃ সাদেকুল ইসলাম
(সাদিক)
e-mail: sadikulislambpi@gmail.com
বিঃদ্রাঃ প্রিয় পাঠক, আপনাদের জন্যই আমাদের এই সব আয়োজন, আশাকরি আপনাদের
ভাল লাগা, মন্দ লাগা এবং যেকোন পরামর্শ অবশ্যই আমাদেরকে জানাবেন । ARRI (AR
Research Institute, Bangladesh)
।
gladesh)
।সোমবার, ২ এপ্রিল, ২০১২
বাল্যবিবাহ
বাল্যবিবাহ
বাল্যবিবাহ কী?
বাংলাদেশের আইন
অনুযায়ী, ১৮ বছরের কম বয়সী মেয়ের সাথে ২১ বছরের কম বয়সী ছেলের বিয়েকেই
বাল্যবিবাহ বলা হয়। ১৯২৯ সালের বাল্যবিবাহ নিরোধ আইনে বাল্যবিবাহ বলতে
বোঝায়, বাল্যকাল বা নাবালক বয়সে ছেলে মেয়েদের মধ্যে বিয়ে। এছাড়া বর-কনে
দুজনেরই বা একজনের বয়স বিয়ের আইন অনুযায়ী নির্ধারিত বয়সের কম হলে অর্থাৎ
বিয়েতে মেয়ের বয়স ১৮ বছরের নিচে অথবা ছেলের বয়স ২১ বছরের নিচে থাকলে সেটাও
আইনের চোখে বাল্যবিবাহ বলে চিহ্নিত হবে। ১৯২৯ সালের বাল্যবিবাহ নিরোধ আইন
অনুযায়ী-
· বাল্যবিবাহ আইনের দৃষ্টিতে শাস্তিযোগ্য অপরাধ
· শিশু বিবাহকারী পুরুষ, বিবাহ রেজিস্ট্রেশনকারী কাজী, পিতা-মাতা, অভিভাবকসহ বাল্যবিবাহের সাথে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিবর্গ সহ এই বিয়ের সাথে যুক্ত সকলেই শাস্তি পাবেন
· বাল্য বিবাহ একটি বাতিলযোগ্য বিবাহ
· বাল্যবিবাহ আইনের দৃষ্টিতে শাস্তিযোগ্য অপরাধ
· শিশু বিবাহকারী পুরুষ, বিবাহ রেজিস্ট্রেশনকারী কাজী, পিতা-মাতা, অভিভাবকসহ বাল্যবিবাহের সাথে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিবর্গ সহ এই বিয়ের সাথে যুক্ত সকলেই শাস্তি পাবেন
· বাল্য বিবাহ একটি বাতিলযোগ্য বিবাহ
বাল্যবিবাহের কারণ:
১। পিতা-মাতার অজ্ঞতা ।
২। সামাজিক দৃষ্টিভঙ্গি ।
৩। যৌতুকের নির্মতা ।
৪। আর্থিক স্বল্পতা ও লোভ ।
৫। অতি অল্প বয়সে ছেলে-মেয়েদের যৌবন প্রাপ্ততা ।
৬। নারী সমাজকে হীন চোখে দেখা ।
৭। অশ্লীল সংস্কৃতি ।
৮। সরকারের আন্তরিকতার অভাব ও ব্যর্থতা ।
১। পিতামাতার অজ্ঞতা: কথায়
আছে “নির্বোধ বন্ধু অপেক্ষা জ্ঞানী শত্রু অনেক শ্রেয়” ।অর্থাৎ অশিক্ষিত
বন্ধুর চেয়ে শিক্ষিত শত্রু অনেক উত্তম । বাংলাদেশ কৃষি প্রধান দেশ ।এজন্যে
পিতা-মাতারা অধিক পরিমানে সন্তান জন্মদান করেন ।তারা ভাবেন, বেশি সন্তান
থাকলে কৃষি খরচ(লেবারের মজুরী) কমে যাবে ।কৃষি কাজ করার জন্য তারা তাদের
সন্তানকে স্কুলেও পাঠাতে আগ্রহী হন না ।তারা তাদের ছেলে-মেয়েদেরকে সংসারী
করার জন্য অতি অল্প বয়সে বিয়ে করান ।বিশেষ করে মেয়েদের ক্ষেত্রে তারা ভাবেন
ঘরে মেয়ে বেশি দিন থাকলে সংসারের অযথা খরচ(খাওয়া, পোশাক, বাসস্থান ইত্যাদি
খরচ) বৃদ্ধি পাবে । তাই তারা তাদের মেয়েকে পরের ঘরে বিদায় করে খরচ
লাঘব(কমাতে) করতে চান ।
২। সামাজিক দৃষ্টিভঙ্গি: অশিক্ষিত
সমাজ ভাবে যুবক-যুবতী ঘরে রাখা পাপ ।আরও ভাবে যৌবন প্রাপ্ত ছেলে-মেয়েরা
সমাজে থাকলে অসামাজিক কাজে যুক্ত হবে ।তাই এই সমাজ যুবক-যুবতীকে ঘরে রাখাকে
তিরষ্কার প্রদান করে ।আবার সমাজের রীতি-নীতি না মানলেও অনেক পরিবারকে
একঘরে হয়েও থাকতে হয় অনেক সময় ।
৩। যৌতুকের নির্মমতা: আজকের
দিনে যৌতুক ছাড়া একটি মেয়ের বিয়ে দেওয়া কল্পনাই করা যায় না ।ঘরে মেয়ে যতই
বড় হয় ততই যৌতুকের হার বৃদ্ধি পেতে থাকে ।তাই বাবা-মায়েরা অল্প বয়সে স্বল্প
যৌতুকে মেয়েকে বিয়ের পিড়িতে বসিয়ে দায় সাড়াতে চান ।
৪। আর্থিক স্বল্পতা ও লোভ: অভাবী
ছেলের বাবা-মায়েরা চান ছেলেকে বিয়ে করিয়ে মোটা অংকের যৌতুক(নগদ টাকা,
গহনা, দামী জিনিস পত্র, গাড়ী ইত্যাদি) সহ ঘরে পুত্র বধু আনতে ।(প্রিয় পাঠক,
লক্ষ্য করুন বিয়েটা কাকে করা হচ্ছে, মেয়েকে ? না সম্পদকে ?) এছাড়া অভাবে
বা টাকা বাচানোর জন্যে বাবা-মাযেরা কচি (৮-১১বছর) বয়সে মেয়েকে বিয়ে দিয়ে
থাকেন ।
৫। অতি অল্প বয়সে ছেলে-মেয়েদের যৌবন প্রাপ্ততা: এদেশের ছেলে-মেয়েরা অতি অল্প বয়সে যৌবন প্রাপ্ত হয় ।এর পিছনে কিছু লক্ষণীয় কারণ আছে ।
কারণ গুলো হল:
১। নাতিশীতোষ্ণ অঞ্চল ।
২। বেশি পরিমানে শাক-সবজি খাওয়া ।
অল্প বয়সে যৌবন
প্রাপ্ত হওয়ায় অনেক সময় ছেলে-মেয়েরা নিজেদেরকে যৌবনের হাত থেকে সামলাইতে
পারে না ।শুধু যৌবণের নেশায় বিভোর হয়ে থাকে ।এ কারণে বাবা-মায়েরা তাদের
ছেলে-মেয়েকে তড়ি-ঘড়ি করে বিয়ে করান ।বাবা-মায়েদের মাঝে একটিই আতংক কাজ করে
যে, কখন কোন অঘটন ঘটে যায় ।বাবা-মায়েরা বিয়ে করাতে না চাইলেও কিছু
ছেলে-মেয়েরা যৌবণের তাগিদে পালিয়ে বিয়ে করে থাকেন ।
৬। নারী সমাজকে হীন চোখে দেখা: সারা
বিশ্বে নারী-সমাজকে হীন চোখে দৃষ্টিপাত এবং তাদেরকে অবহেলা করা হয়
।দুঃখজনক একটা বিষয় না বললেই নয় যে, আমাদের মাঝে কিছু ধর্মীয়
পুরাহিত(ধর্মীয় সাধক) আছেন যারা ধর্মীয় আদেশের ভুল ব্যাখ্যা করে করে নারী
সমাজকে অবজ্ঞায় পতিত রাখেন ।এর দরুণ নারী সমাজকে অতি উচ্চ মূল্য গুনতে
হচ্ছে ।বাবা-মায়েরা ভাবেন মেয়েদের পড়াশুনার প্রয়োজন নাই, মেয়েরা তাদের
সংসারের কোন উন্নয়নে অংশগ্রহন করতে পারবে না ।পারেনা কোন চাকরি করিয়া অর্থ
উপার্জন করতে ।এজন্যে বাবা-মায়েরা চান যত তারা-তাড়ি সম্ভব ধর্মীয় বিধিমালা
অনুযায়ী মেয়েকে শ্বশুর বাড়ীতে বিদায় করে দায় সারাতে ।এতে বাল্যবিবাহের হার
বহুগুণে বৃদ্ধি পাচ্ছে ।
৭। অশ্লীল সংস্কৃতি: আজকাল
টেলিভিশনের চ্যানেল পাল্টাতেই চোখে পড়ে অশ্লীল দৃশ্য ।ইন্টারনেট ব্লাউজিং
করতেই চোখে পড়ে অশ্লীল ছবি, গান ও গল্পের ভাণ্ডার ।যেটা শিক্ষার একটি অংশ
সেখানেই অশ্লীলতা ।তাহলে এটি কী নতুন প্রজন্মকে সুশিক্ষিত করবে?
রাস্তা-ঘাটে (বিশেষ করে পার্কে, রাস্তার ধারে, বিশেষ কোন অনুষ্ঠানে,
মেলা-প্রদর্শনীতে) যে দৃশ্যমান ছবিটি চোখে পড়ে তা হল, ছোট-খাটো পোশাক
পরিধান রত ঝলমলে উড়ন্ত লাগাম বিহীন প্রজাপতির মত উড়ে বেড়ানো একদল তরুণীকে
।এতে দৃষ্টি ভ্রষ্ট হয়ে যুবকরা নিজেদের পরিপূর্ণ নিয়ন্ত্রন হারিয়ে ফেলে
।বাবা-মায়েরা চান তাড়া-তাড়ি ছেলে-মেয়েদের বিয়ে দিয়ে ধর্মীয়-সামাজিক দায়
তথাপী পাপ এড়াতে ।
৮। সরকারের আন্তরিকতার অভাব ও ব্যর্থতা: সন্মানিত
পাঠক, এখানে অবাক হবার কিছুই নেই যা সচারচর ঘটে থাকে তা হল একটি
বাল্যবিবাহ আয়জনের অপরাধে পিতা-মাতাকে গুনতে হয় মাত্র ১০০০(এক হাজার) টাকা ।
এছাড়া বাল্যবিবাহ ঠেকাতে সরকারের তেমন উল্লেখ যোগ্য আইন বা প্রতিরোধ
ব্যবস্হা নেই । কিছু আইন থাকলেও তার বাস্তবায়নে উদ্দেক নেই । দেশের প্রতি
গ্রামেই অহরহ বাল্যবিবাহ ঘটছে, তা প্রতিরোধ করার জন্য প্রশাসনিক তেমন কোন
সু-ব্যবস্থা নেই এবং দেখার কেউ নেই ।চলছে শুধু স্লোগান আর ক্ষমতাসীনদের
চটকুদার কথা ।
বাল্যবিবাহের উৎপত্তি: এখনো
বাল্যবিবাহের উৎপত্তির ইতিহাস সঠিক ভাবে জানা সম্ভব হয়নি ।বিভিন্ন দিক
থেকে অনুমান করা যায় যে, পৃথিবীর আদিকাল হতেই বাল্যবিবাহের মত একধরনের
সেক্সুয়াল নিয়ম চালু হয়ে আসছিল ।সেই নিয়মেরই ধারা বাল্যবিবাহ বলে ধারণা করা
হচ্ছে ।সে কালে চিকিৎসা-বিজ্ঞান বলতে কিছু ছিলনা বলে বাল্যবিবাহের বিষয়টি
তেমন আলোকিত হয়নি ।আধুনিক কালে চিকিৎসা-বিজ্ঞান উন্নতি হওয়ায় বাল্যবিবাহের
বিরুদ্ধে ধীরে ধীরে গন-সচেতনতা গড়ে উঠছে ।
***প্রিয় পাঠক, আজ এই
টুকুই আগামী দিনে এর বাকী যোগ করব (ইনশা আল্লাহ) । আমাদের সাথেই থাকুন এবং
দোয়া রাখবেন ।কোন ভুল-ভ্রান্তি থাকলে আমাদের জানাবেন ।***
এতে সদস্যতা:
পোস্টগুলি (Atom)